বাইসাইকেল যোগে রাতে বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করে আনিছুর রহমান চৌধুরী (৪৯) নামে এক কৃষককে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রক্ত মাখা শার্ট ও লুঙ্গি পড়ে থানায় এসে লাশের সন্ধান করলে পুলিশের হাতে ধরা খায় ছোট ভাই হাবিবুর রহমান (৪২)। এর কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, ওই কৃষককে মৃত ঘোষাণা করেছেন চিকিৎসক।
গতকাল সোমবার রাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে। আজ মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আনিছুর রহমানের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর রসুলপুর গ্রামে।
জানা যায়, আনিছুর গতকাল সোমবার পাশের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রায়ের বাজার থেকে সাইকেল চালিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় দুর্বত্তরা বাঁশঝাড়ের একটি বাঁশ কেটে তার পথরোধ করে। তিনি পড়ে থাকা বাঁশ ডিঙিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি গুরুতর আহত কৃষককে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ছোট ভাই হাবিবুর রহমান রক্তমাখা শার্ট ও লুঙ্গি পড়া অবস্থায় হাসপাতালে না গিয়ে থানায় এসে ভাইয়ের লাশের সন্ধান করেন। তখন পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।
নিহতের ছেলে মো. ইমরান হাসান জানায়, তাদের ঘরের দরজার সামনে ছোট চাচা হাবিবুর রহমান একটি টয়লেট নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে তার বাবার সঙ্গে চাচার বিরোধ চলছিল। তাছাড়া একটি মদরাসায় চাকরি নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। ওই মাদরাসার একটি পক্ষের পক্ষ নিয়ে এই মামলা প্রত্যাহার করতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল চাচা। গত এক সপ্তাহ ধরে ঘরের মধ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি চিরকুটও পাওয়া গেছে।
নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. ফজিকুল ইসলাম বলেন, তখনো আহত ব্যক্তি হাসপাতালে। এর মধ্যে এক ব্যক্তি থানায় এসে ভাইয়ের লাশ খুঁজতে থাকে। এ সময় ওই ব্যক্তির পড়নের জামা ও লুঙ্গিতে রক্ত মাখা দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হয়। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তি হচ্ছে নিহতের ভাই। বিভিন্ন তথ্য নিয়ে পুলিশ খুনের ঘটনাটি তদন্তু করছে।