কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে সোমবার (৭ মার্চ) এই কার্যক্রমের প্রথম দিনে সকালে শিমুলকান্দি হাই স্কুলে ভোটারদের মাঝে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন অফিস।
২০১৯ সালে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের ভোটারদের মাঝে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এ কার্ড বিতরণ। পর্যায়ক্রমে সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ভোটারদের মাঝে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
তবে এ স্মার্ট কার্ড বিতরণে ভোটারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কার্ড নিতে আসা ভোটাররা জানান, কার্ড বিতরণে দায়িত্বে থাকা নির্বাচন অফিসের লোকজন প্রত্যেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। জনপ্রতি ২০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় শতাধিক লোকের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সঙ্গে হট্টগোল বাধে। হট্টগোলের এক পর্যায়ে টাকা নেওয়ার অপরাধ থেকে রেহাই পেতে নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাজমুল নিজেকে বেসরকারি একটি দোকানের লোক বলে দাবি করেন।
তবে প্রতিবাদের মুখে দুপর ১২টার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টাকা ছাড়া চলে ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণের কাযক্রম।
এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাজমুল টাকা নেওয়ার ব্যাপারে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ভক্সের জন্য তিনি টাকা নিচ্ছেন।
শিমুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যোবায়ের আলম দানিস বলেন, টাকা নিয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণে ভোটারদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করি এবং অর্থের বিনিময়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ না করতে বলি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করে বলেন, যে টাকা নিয়েছে সে তার অফিসের কেউ নন। নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাজমুল কে জানতে চাইলে পরক্ষণে জানান, সে তার অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। পরে তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে ফোনটি কেটে দেন।