অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন এক অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ চাকুরিজীবী। কাজের কথা বলে বাড়িতে ডেকে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ ঘটনা কাউকে বললে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। কয়েকদিন পর স্বামীর মোবাইলেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ওই ভিডিও দেখে ফেলেন তার স্ত্রী। এর পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার বিষয়টি জানার পর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত আবদুল বারিক নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আব্দুল বারিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কামারাটিয়া গ্রামের মৃত আ. জলিলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আবদুল বারিক গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তার প্রতিবেশী ওই স্কুলছাত্রীকে কাজের কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তিনি দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণের ওই দৃশ্য নিজের মোবাইলে ধারণ করেন তিনি। ধর্ষণের কথা কাউকে বললে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বারিক।
পরে মোবাইলে থাকা ধর্ষণের ভিডিওটি সম্প্রতি দেখে ফেলেন বারিকের স্ত্রী। ফলে এ ঘটনা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। একইভাবে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনও এ ঘটনা জেনে তার সঙ্গে কথা বলে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত আবদুল বারিককে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ওই রিমান্ড আবেদনের শুননির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করে আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।