ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের চার বারের জাতীয় সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ (৮০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের-ই খোদা দীপ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
তিনি জানান, ডা. এম আমান উল্লাহ ল্যাবএইড হাসপাতালে দুপুরের দিকে মারা গেছেন। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল হার্ট অ্যাটাক নিয়ে। বলা যায় যে প্রায় মৃত অবস্থাতেই ওনাকে আমরা রিসিভ করেছি।
মেহের-ই খোদা বলেন, ওনি আমাদের হাসপাতালে কর্মরত ডা. মােনাসির সাকিফ আমান উল্লাহর বাবা। পরিবারের ইচ্ছা এবং একজন সাবেক এমপি হিসাবে ওনাকে আমরা লাইফ সাপোর্টে নিয়েছিলাম। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও আমাদের চিকিৎসকরা ওনাকে আর ফেরাতে পারেননি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১২ মার্চ) বাদ জুমা ভালুকা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ও পরে উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের সায়েরা সাফায়েত স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ এশিয়ার মধ্যে বিশিষ্ট হৃদরােগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ১৯৯৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেই বিপুল ভােটে বিজয়ী হােন। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ এর সংসদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হােন। বার্ধক্যজনিত কারণে ২০১৮ এর সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে তিনি মনােনয়ন পাননি। সর্বশেষ অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে অধ্যাপক ডা. এম আমানউল্লাহ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।