ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় তালাক দেয়া স্বামীর কাছে ফিরে যেতে সহায়তা চেয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে গিয়ে এক নারী গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খলিলুর রহমান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার খলিলুর রহমান উপজেলার পাহাড় পাবইজান গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১০ মার্চ) সকালে মুক্তাগাছা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলার পর খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলার কারণে দুই বছর আগে ভুক্তভোগী ওই নারীর বিচ্ছেদ হয় স্বামীর সঙ্গে। তার সাত বছরের সন্তান বাবার কাছে থাকায় প্রায়ই স্বামীর বাড়িতে যেতেন গৃহবধূ।
এরই মধ্যে ওই নারীর পরিচয় হয় সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। ওই নারী স্বামীর কাছে ফিরে যেতে সাইফুলের কাছে সহায়তা চায়। কিন্তু সাইফুল তাকে বিয়ে করবে বলে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন। পরে সাইফুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ ঘটনার বিচার চাইতে ওই নারী হাজির হন মুক্তাগাছা শহরের হৃদয় মোড়ের এক মানবাধিকার কর্মীর কাছে। সেখানে গিয়ে পরিচয় হয় খলিলুর রহমান নামে এক পল্লী চিকিৎসকের সঙ্গে। পরে খলিল ওই নারীকে সহায়তায় আশ্বাস দিয়ে গত সোমবার (৮ মার্চ) রাতে বিরুলিয়া গ্রামের কাদেরের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে কাদের, খলিলুর ও তাদের আরও পাঁচ সহযোগী মিলে গ্রামের ফসলি মাঠের একটি আমগাছের নিচে ওই নারীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় বলে মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সাইফুলসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।