ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক ব্যক্তিকে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অর্থদণ্ড করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে চার নারীকে আহত করেন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে মৃগালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মৃগালী গ্রামের শহিদুল্লাহ নিজ বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে ড্রেজার দিয়ে পুকুর খনন করায় রাস্তাসহ পাশে থাকা আরেকটি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ দায়ের করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ঘটনাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভীনকে নির্দেশ দেন। তিনি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে পরিদর্শন করে খননকৃত পুকুরের কাজ বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরটি দুই দিনের মধ্যে মেরামত করতে নির্দেশ দেন।
কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে শহিদুল্লাহ পুকুর খনন কাজ অব্যাহত রাখে। এতে রাস্তাটি আরো ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শহিদল্লাহকে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে ছেড়ে দেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল্লাহ ও তার ছেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর মালিক মর্তুজা বেগমের বাড়িতে বিকেলে ৪টার দিকে হামলা চালায়। এ সময় মর্তুজা বেগম (৬০), পুত্রবধু নাদিরা (৩০), নাতি মুর্শেদা (১২), মাসুদা (৭) গুরুতর আহত হয়।
অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে আটক হওয়ার পর নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে এভাবে পুকুর খননে রাস্তাটি ভেঙেছে এটি আমার ভুল হয়েছে। রাস্তাটি মেরামত করে দেবো। তবে হামলার পর তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মতুর্জা বেগমের পুত্রবধূ নাদিরা বলেন, স্যারেরা এসে তাকে জরিমানা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আহতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার বেহাল চিত্র দেখে শহিদুল্লাহকে অর্থদণ্ড করা হয়। হামলার বিষয়টি শুনেছি, এটা দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।