1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গুগল ম্যাপের ভুলে নির্মাণাধীন সেতু থেকে নদীতে গাড়ি, নিহত ৩ আসছে নতুন বৃষ্টিবলয়, কৃষকদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ঢাকায় আসছেন ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নামিয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’, ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবে ১৮ হাজার ১৪৯ জন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিষয়ে নির্দেশনা আদালত দেবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন সেইলরের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর হলেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও বিদ্যা সিনহা মিম

নান্দাইলে ঘুমন্ত মাকে হত্যাকারী ছেলে এখন পাগল ও দুই পা অবশ!

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

জমি নিজের নামে লিখে না দেওয়ায় ঘুমিয়ে থাকা মাকে (৮২) মশারির নিচেই জবাই করে হত্যা করে পাষণ্ড ছেলে আবু তালেব। গত প্রায় আট বছর আগে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল ময়মনসিংহের নান্দাইলের কানুরামপুর কতুবপুর গ্রামে। ঘটনার দুই দিন পর ধরাও পড়ে সে। এর পর থেকেই বিচারের জন্য কারাগারে আছে।

গতকাল মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করলে জানা যায় এর মধ্যে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে পাবনার মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ফের কারাগারে আনা হয়। এখন সে দুই পা অবশ অবস্থায় দিনযাপন করছে।

এ ধরনের কথার সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুছ ছাত্তার (বর্তমানে ত্রিশাল থানায় কর্মরত) জানান, ‘আদালতে হাজিরার পর সিঁড়ি দিয়ে হামাগুড়ি করে নামার সময় দেখা হলে মাকে হত্যায় অভিযুক্ত ছেলে তাকে (আব্দুছ ছাত্তার) দেখেই বলে,‘স্যার ভালা আছুইন,আমার ফডোডা (ছবি) তুলুইন। পরে আমার এই দশা বেহেরে (সকল) দেহাইন যে।’

জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কানুরামপুর এলাকার কতুবপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন ভুইয়ার স্ত্রী মোছাম্মৎ মঞ্জিলা বেগমের জবাই করা লাশ পাওয়া যায় বিছানায় মশারির নিচে। নিহত মঞ্জিলার ৩ ছেলে ও ৫ মেয়ে থাকলেও বাড়িতে অবস্থান করে বড় ছেলে আবু তালেব (৪৫)। তখন তাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ধারনা করে মায়ের সাথে জমি সংক্রান্ত ঘটনায় আগে করা বিবাধের কারনে ছেলে আবু তালেবেই ঘটনা ঘটাতে পারে। এ অবস্থায় দুই দিন পর পাশের এলাকা থেকে তাকে আটকের পর স্বীকার করে সে মাকে হত্যা করেছে।

পাঁচ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে রাশিদা তখন জানিয়েছিলেন, জমির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে তার তিন ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধসহ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। সম্প্রতি আবু তালেবের বিরুদ্ধে একটি মামলায় মা মঞ্জিলা বেগমকে স্বাক্ষী রাখে আরেক ছেলে আব্দুল কাইয়ুম। এ নিয়ে বৃদ্ধ মায়ের সাথে প্রায়ই ঝগড়া করতো আবু তালেব।

প্রতিবেশিরা জানান, দুই ছেলে ঢাকায় এবং মেয়েরা সকলেই স্বামীর বাড়িতে থাকায় আবু তালেবকে নিয়ে বসবাস করতেন বৃদ্ধা মঞ্জিলা বেগম। ওই দিন সন্ধ্যায় তার হিস্যার জমি লিখে দেওয়ার জন্য মাকে চাপ দেয় আবু তালেব। রাজি না হওয়ায় বসত ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুরসহ বৃদ্ধ মাকে লাঞ্চিত করে। পরে ভোরে বৃদ্ধা মঞ্জিলার জবাই করা রক্তাত্ত লাশ পাওয়া যায় চৌকির ওপর।

তখন বৃদ্ধার ভাতিজি কোহিনুর বেগম জানিয়েছিলেন, সকাল নয়টা বাজলেও তার চাচি ঘুম থেকে না উঠায় ঘরে প্রবেশ করে দেখেন মশারি টানানো ও ভিতরে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় চাচি শুয়ে রয়েছেন। এ অবস্থায় কাঁথা সরিয়ে রক্ত দেখে চিৎকার দিয়ে উঠেন। বাড়ির লোকজন ধারণা করছে রাতের কোন এক সময় ছেলে আবু তালেব তার মাকে ঘুমের মধ্যে জবাই করে পালিয়ে যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি