“করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব” এ স্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার (৮ মার্চ) কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় এর আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ, মুজিব শতবর্ষ, করোনা পরিস্থিতিতে নারী নেতৃত্ব এবং নারীর বলিষ্ঠ অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়া।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বার সঞ্চালনায় নারী দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহরিয়ার মেনজিস, ভৈরব প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু, ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আলী মোহাম্মদ রাশেদ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। জাতিসংঘ দিনটিকে ১৯৭৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করছে।
নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নের সাথে জড়িত রয়েছে সমানতালে। আর তাই সারা বিশ্বে বদলে গেছে নারীর প্রতি সকলের দৃষ্টিভঙ্গি। নারীদের বলিষ্ঠ ভূমিকায় ও সকল নারীদের ঐক্যবদ্ধতায় নারীর সমঅধিকার রক্ষা করতে পারবে নারীরা।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, সারাবিশ্বে প্রভাবশালী নারী নেতৃত্বের বলিষ্ঠ ভূমিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।
করোনাকালীন সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী হয়েও দেশের আর্থিক ঘাটতি পূরণ করে করোনাকালীন মানুষের জীবন মান রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। আর বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।
এমনকি করোনা ভ্যাকসিন বিশ্বের উন্নত দেশগুলো না পেলেও জননেত্রী শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ অবদানে আমরা ফ্রিতে ভ্যাকসিন পাচ্ছি। তাই নারীদের ঐক্যবদ্ধতায় কোন বিকল্প নেই।
আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ ছাড়াও উপজেলার সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসের প্রশিক্ষণার্থীরাসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।