1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

জামালপুরের সেই ডিসির বেতন কমে অর্ধেক

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

অফিসের একজন নারী পিয়নের সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কে জড়ানোয় শাস্তি হিসাবে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের বেতন গ্রেড কমিয়ে দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব হিসাবে তিনি বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। শাস্তির কারণে তিনি এখন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন।

অর্থাৎ, সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর যে বেতন পান আহমেদ কবীর তাই পাবেন। তিনি উপসচিব পদে বহাল থাকলেও তার বেতন অর্ধেক কমে যাচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বুধবার রাতে বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি যে অপরাধ করেছেন তা পুরো প্রশাসনকে কলঙ্কিত করেছে। তার পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আর কখনো পদোন্নতি পাবেন না। এই পদ থেকেই তাকে চাকরি থেকে বিদায় নিতে হবে। বেতনও প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে।’

জানা গেছে, কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসাবে শাস্তির যে বিধান রাখা হয়েছে এগুলো হচ্ছে, নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ। সবচেয়ে কম দণ্ডের শাস্তিটি হচ্ছে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ। সেটিই দেওয়া হয়েছে আহমেদ কবীরকে।

আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাস্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসাবে তিন বছরের জন্য নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হলো। আহমেদ কবীর উপসচিব হিসাবে বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান।

শাস্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। পঞ্চম গ্রেডে তার মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য ভাতা-সুবিধা পাবেন।

জামালপুরের ডিসি থাকাকালে ২০১৯ সালের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তাঁর অফিসের অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তাঁর ব্যবস্থা নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ২৫ আগস্ট আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ভিডিও প্রকাশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবার আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো। তিনি উপসচিবই থাকবেন। আর কখনো পদোন্নতি পাবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি