কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মানিকদী নয়াহাটি গ্রামে থেকে মুর্শেদা বেগম (৩৫) এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে নিজ বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় একই কক্ষে শিকলে বাঁধা ছিলেন মুর্দেশার ছোট বোন মিনা বেগম। তবে তারা দুজনই মানসিক রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী গোলাম সারোয়ার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, নয়াহাটি গ্রামের মৃত ইব্রাহীম দফাদারের স্ত্রী মুর্শেদা বেগম ও তার ছোট বোন মিনা বেগম (৩০) একই ঘরে থাকতেন। মুর্শেদার একটি মেয়ে থাকলেও তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যত্র। মেয়ে স্বামীর বাড়ি থাকায় তাদের দেখাশুনা করার মতো কেউ ছিলেন না। ছোট বোন মিনা বেগম শিকলে বাঁধা থাকতেন প্রায়ই।
আজ দুপুরের দিকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের দরজা খুলে মুর্শেদার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ঘরের ভেতরে ছোট বোন মিনা বেগম শিকলে বাঁধা ছিলেন।
ভৈরব থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌতম সেন জানান, খবর পেয়ে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে ঘরের ধর্ণায় রশিতে বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় মুর্শেদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ঘরের ভেতরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে ছোট বোন মিনা বেগমকে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ধারণা করছি এটি আত্মহত্যা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদ্ন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জের মর্গে প্রেরণ করা হবে।