সোমবার ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে কর্তব্য পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ মেমরিয়াল-ডে ২০২১ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি-সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা হয়।
রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি মেয়র টিটু বলেন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যরাই সবার আগে স্বাধীনতার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন ও দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে সকল আন্দোলন প্রতিহত, জঙ্গিবাদ নির্মুল এবং করোনাকালে পুলিশ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
নিহত পুলিশ সদস্যদের আবেগঘন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মেয়র বলেন, আপনাদের পরিবারের সাথে সিটি কর্পোরেশন সব সময় পাশে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যখনই আঘাত এসেছে, পুলিশ সদস্যরা সবার আগে এগিয়ে এসেছে। কর্তব্যকালে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের ক্ষতিপুরণ হবার নয়। নিহতদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার যাতে সরকারী রেশন পায় তার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান, এনডিসি, অতিরিক্ত ডিআইজি ডঃ আক্কাস উদ্দীন ভূইয়া, জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, র্যাব ১৪ অধিনায়ক লে. কর্ণেল নাঈম আহমেদ, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. মোঃ আল মামুনুল আনসারি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহ সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. বিকাশ চন্দ্র রায়, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, কর্তব্য পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্য পরিবারের কামরুন্নাহার, খালেদা বেগম।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহা আহমার উজ্জামান বলেন, স্বাধীনতার সাথে বাংলাদেশ পুলিশের নাম যুক্ত রয়েছে। ২০১৩ সালের হেফাজত, ১৪ সালে নির্বাচন ও বিভিন্ন সময়ে জঙ্গিবাদ নির্মুলে পুলিশ দায়িত্বশীল ভুমিকা নিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হয়েছে। এই উন্নয়নশীল দেশ প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে সকল অপকৌশল, অপশক্তি নস্যাৎ করতে হবে। স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে জীবনবাজি রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
এর আগে পুলিশ লাইন্সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অম্লানে কর্তব্য পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া রবিবার সন্ধ্যায় কর্তব্য পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ময়মনসিংহের উদ্যোগে চেতনা অম্লানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। পুনাক সভানেত্রী কানিজ আহমার পুনাক সদস্যদের নিয়ে র্যালী সহকারে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অম্লানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।