কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় লাল তীরের উচ্চ ফলনশীল ডায়মন্ড জাতের আলু উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়েছে। প্রতি একরে এ জাতের আলু ১৫ মেট্রিক টন ফলেছে বলে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার চরফরাদী গ্রামে নতুন বাজার সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত কৃষক মাঠ দিবসে বক্তারা এ তথ্য জানান।
‘লাল তীর-এর বীজ আলু চাষ, শান্তি-সুখে বারোমাস’ এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে লাল তীর সীড লিমিটেড ভৈরব আঞ্চলিক কার্যালয় এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে।
পাকুন্দিয়া সদর বাজারের লাল তীরের ডিলার মো. এরফান উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, লাল তীর সীড লিমিটেড শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী।
একই বিভাগীয় পিডিএস কর্মকর্তা জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ভৈরবের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জহুরুল ইসলাম, চরকাওনা কলেজের সাবেক প্রভাষক মো. ওমর ফারুক, স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম, লাল তীর সীড লিমিটেডের কিশোরগঞ্জ জেলার টেরিটরি ম্যানেজার মতিউর রহমান, সেলস এসিস্ট্যান্ট ফাহাদ আল মামুন, চরফরাদী ইউনিয়নের খাদ্য-পুষ্টি ও কৃষক সমিতির সভাপতি মো. আবু বক্কর তরুন প্রমুখ।
চরফরাদী গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান বলেন, এ বছর আমি লাল তীরের ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছি। প্রচলিত আলু বীজের তুলনায় এ আলু বীজ রেকর্ড পরিমাণ ফলন দিয়েছে। বাজারে এ আলুর দাম ভালো পাওয়া যায়। এতে আমাদের অনেক লাভ হবে।
একই গ্রামের কৃষক আবু বক্কর তরুন বলেন, প্রচলিত আলু চাষে কোন লাভ নেই। এ জাতের আলুতে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম। ফলনও বেশি।
লাল তীর সিড লিমিটেড শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী বলেন, লাল তীর বীজ আলু উচ্চ ফলনশীল। প্রচলিত জাতের আলুর তুলনায় এ আলুর ফলন চারগুণ বেশি। প্রতিটি আলুর চোঁখ বেশি। তাই বীজের পরিমাণও পাওয়া যায় বেশি। এ আলুবীজ অধিক ফলনশীল এবং নাবী ধ্বসা ও ভাইরাস সহনশীল।