নেত্রকোনার মদনে আহত ব্যবসায়ী হেকিম মিয়া (৫৮) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মোছা. মাজু আক্তার বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত হেকিম মিয়া পৌরসভার চকপাড়ার মৃত মহিম উদ্দিনের ছেলে ও শ্রমিক নেতা হাবিবুরের চাচা।
গতকাল মঙ্গলবার মদন-কেন্দুয়া সড়কের দেওয়ান বাজার রোডে শ্রমিক নেতা হাবিবুরের ভাই শরীফকে মদন উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি লিটন বাঙালী ও তার লোকজন রামদা দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম করেন। এ সময় দেওয়ান বাজারের বাঁশ ব্যবসায়ী ও শরীফের চাচা হেকিম মিয়া কিল, ঘুষি, লাথিতে আহত হলে পরিবারের লোকজন মদন হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতে তার মৃত্যু হয়।
হেকিমের মৃত্যুর সংবাদ এলাকার ছড়িয়ে পড়লে হত্যা না স্ট্রোক তা নিয়ে লোকমুখে নানা আলোচনা চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, হামলার সময় হেকিম ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পরে তার ভাতিজা শরীফকে ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
মদন থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, হেকিম মিয়া ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. মাজু আক্তার বাদী হয়ে ওই রাতেই ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। তবে এজাহারে উল্লেখ- কিল, ঘুষি, লাথিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি ময়মনসিংহ হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যাবে।