ময়মনসিংহে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় মো. আব্দুস সাত্তার (৫০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা নিজ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আব্দুস সাত্তার বাবুর্চির কাজ করেন। তিনি ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে মো. আব্দুস সাত্তারকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চন্ডীবেড় মধ্যম পাড়ার মো. ময়নুল ইসলাম হিরন মোল্লার বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরে আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আব্দুস সাত্তার স্বীকার করেন, তিনি পূর্ব শত্রুতার জেরে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে অপহরণ করেন এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এর আগে গত বছরের ৫ জুলাই ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। পরে ওই মামলায় পুলিশ আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। পরবর্তীতে সাত্তার জামিনে এসে কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। মামলা তুলে না নেয়ায় ওই কিশোরীকে ফের অপরণের পর ধর্ষণ করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চন্ডীবেড় মধ্যম পাড়ার মো. ময়নুল ইসলাম হিরন মোল্লার বাড়িতে আটকে রাখেন।