নেত্রকোনার দূর্গাপুরে উপজেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি, ইন্দ্রপুর মাদ্রাসা ও স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে বন্ধ হলো আক্তার আলী ফকিরের ওরস। সোমবার দুর্গাপুর থানা পুলিশ এ ওরস বন্ধ করে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুর উপজেলা কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত আক্তার আলী ফকিরের মাজারে বাৎসরিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে দিনব্যাপী এবং কিছুদিন পর একদিন, পরে দুইদিন এবং এরও কিছুদিন পর তিন দিনব্যাপী ওরস পালিত হয়ে আসছিল। শুরুতে তাদের কার্যক্রম ভালো থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরে ওরস পালনের নামে ওই মাজারে চলছে নানা প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম।
প্রতি বছরের মতো এবারও ২২, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী ওরসের আয়োজন করলে নানা এলাকা থেকে প্রশ্নবিদ্ধ লোকদের আগমন ঘটতে থাকলে স্থানীয় ওলামা-মাশায়েকরা বাধা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মাজার কমিটির লোকজন। এরই প্রতিবাদে উপজেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটি, ইন্দ্রপুর মাদ্রাসা ও স্থানীয় ওলামা মাশায়েকরা রাস্তায় আন্দোলনে নামেন।
স্থানীয় কৃষ্ণেরচর বাজার জামে মসজিদ ময়দানে হাফেজ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় উপজেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মুফতি মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন- মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা মজিবুর রহমান, মুফতি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
ওরস বন্ধকরণ বিষয় নিয়ে মাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে তিন দিনব্যাপী ওরস মোবারক শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের ভক্তরা এ ওরস মোবারকে যোগ দিয়েছেন। এখানে কোনো প্রকার অশালীন কার্যক্রম চলে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তুতিকালে দুর্গাপুর থানা পুলিশ আমাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখে আগামী ২৪ তারিখ শুধু আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতে বলেন।
উপজেলা ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মুফতি মামুনুর রশীদ বলেন, এই মাজারের নানা কার্যক্রমে আমরা অতিষ্ঠ। আজ থেকে তিন দিনব্যাপী ওরস চলার ঘোষণা দিলে সর্বস্তরের ওলামা মাশায়েকরা তা বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাস্তায় নেমে আসেন। এতে পুলিশ ওরসের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে শুধু আগামী ২৪ তারিখ ওরসের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে যান।