কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর নববধূ রুবা হত্যা মামলায় দুই নারীসহ ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক দণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আ. রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লুৎফা ওরফে রুকন, রুকনের চাচাতো ভাই শরীফ, শরীফের বাবা সোহরাব, সোহরাবের স্ত্রী জোৎস্না, মুসলিমও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহার। তারা সবাই সম্পর্কে রুবার স্বামী শামীমের চাচা, চাচি, চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া মোগলপাড়া গ্রামের মৃত আ. কদ্দুসের ছেলে শামীমের সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে রুবার। এ বিয়েতে শামীমের মত ছিল না। বিয়ের মাত্র ১৫ দিন পর ২০১১ সালের ৩ জুন রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে রুবাকে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে দেন। ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রুবার ভাই আলামিন বাদী হয়ে ৪ জুন রুবার স্বামীসহ ৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর শামীম ছাড়া অপর ৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দেন করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শওকত জাহান। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলা পরিচালনা করেন।