ময়মনসিংহের ভালুকা পৌর সদরের ভালুকা ডিজিটাল হাসপাতালে ওলি হাসান নামে দেড় বছর বয়সের এক শিশুকে ইনজেকশন পুশ করায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড় কাশর গ্রামের বাসিন্দা যমুনা ইলেকট্রনিক্সের ডিস্ট্রিবিউটর তাজ উদ্দিনের ছেলে ওলি হাসান বয়স দেড় বছর গত দুই দিন যাবত জ্বরে ভুগছিল। শনিবার বিকালে ওলিকে নিয়ে ভালুকা ডিজিটাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য শিশু চিকিৎসক ডা. মনিরুল ইসলাম খানের কাছে আসেন। ডাক্তার ওলিকে দেখে একটি ইনজেকশন পুশের ব্যবস্থাপত্র দেন।
ওই ক্লিনিকের নিজস্ব ফার্মেসি থেকে দুইটি প্যাকেট ইনজেশনের কিনে আনা হয়। একটি ইনজেকশন ক্লিনিকে নিজস্ব নার্স আলপনাকে দিয়ে পুশ করে অপর একটি ইনজেশনের প্যাকেট দিয়ে দেয়া হয়। শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে অনুমানিক এক ঘণ্টার অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শিশুটির মা তার হাতে থাকা ইনজেশনের প্যাকেটটির মেয়াদ লক্ষ্য করে দেখেন, গত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ইনজেকশনটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অসুস্থ ওলিকে পুনরায় ওই ক্লিনিকে নিয়ে গেলে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ওলির অবস্থা অবনতি হলে তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে আইসিইউতে সিট খালি না থাকায় ডেলটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটির অবস্থা দেখে ক্লিনিকে ভর্তি করাননি। সেখান থেকে ওলিকে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ভর্তি করানো হয়।
এ ঘটনায় ওলির বাবা তাজ উদ্দিন বাদী হয়েছে ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা আশিক (২০) ও ইনজেকশন পুশকারী নার্স আলপনাকে (২০) আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
শিশুর বাবা তাজ উদ্দিন জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও স্টাফদের অবহেলার জন্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন আমার ছেলেকে পুশ করায় সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ঔষধ বিক্রেতা আশিক জানান, এ ইনজেকশনটি আমাদের ফার্মেসিতে ছিল না, আমি আরেকটি ফার্মেসি থেকে কিনে এনে দিয়ে ছিলাম।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি একটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।