৩০ জানুয়ারি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার ২১ দিন পার হলেও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ বলছে আসামিরা চিহ্নিত, অচিরেই তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ওই দিন বেলা পৌনে ১টার দিকে গৌরীপুরের শেখ লেবু স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন- এনটিভির ক্যামেরা পারসন মাসুদ রানা ও একাত্তর টিভির ক্যামেরা পারসন নুরুজামান। এছাড়াও এনটিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করে হামলাকারীরা
৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে মারধরের শিকার এনটিভির ক্যামেরা পারসন মাসুদ রানা বাদী হয়ে গোরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পৌরসভা নির্বাচন চলাকালে কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম হবির সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই সময় অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী বেআইনিভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে বাশের লাঠি, রাম-দা দিয়ে এনটিভির মাসুদ রানা ও একাত্তর টিভির নুরুজ্জামানের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় এনটিভির ক্যামেরা পারসন মাসুদ রানা ও একাত্তর টিভির ক্যামেরা পারসনকে পিটিয়ে তাদের পা, পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এছাড়া মাসুদ রানার হাতে থাকা এনটিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
পরে তাদের চিৎকার শুনে কেন্দ্রে থাকা অন্য সাংবাদিকরা আহত দুইজনকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাসুদ রানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মারধরের শিকার এনটিভির ক্যামেরাপারসন মাসুদ রানা বলেন, হামলার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে হামলাকারীদের ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যা হামলাকারীদের শনাক্ত ও ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে সহায়তা করবে। তবে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আসামিদের ধরছে না। এই ঘটনার সুবিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাসুদ।
এই ঘটনায় আহত অপর সাংবাদিক একাত্তর টিভির ক্যামেরা পারসন জামান বলেন, আসামিরা চিহ্নিত হওয়ার পরও পুলিশ আসামিদের ধরছে না। আমরা যদি বিচার না পাই, তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে বিচার পাবে বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ বিষয় গৌরীপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছেন তাই আসামিদের গ্রেফতারে দেরি হচ্ছে। খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
গৌরীপুর সার্কেল এএসপি খন্দকার শাকের সিদ্দিকী বলেন, আসামিরা চিহ্নিত। তবে এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। হামলার ঘটনায় সুবিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।