কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়ন সবজি চাষের জন্য খ্যাত। এই উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সবজি চাষীরা এবার সবজি দাম না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর প্রতি একর জমিতে সবজি চাষ করতে গিয়ে তাদের ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে।
কিন্তু সবজির দাম এবার সর্বনিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। কষ্ট করে সবজি ফলিয়ে তাদের এখন পানির দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে এখন তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পিরিজপুর পাইকারি বাজারে গিয়ে অর্ধ শতাধিক সবজি চাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বছর ফুলকপি, বাধাকপি, দেশি লাল আলু, ললিতা আলু জমিতে চাষ করে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
বর্তমানে বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ৩ টাকা, বাধাকপি প্রতিটি ২ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১ টাকা থেকে ২ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা, লাল দেশি আলু প্রতি কেজি ১৬ টাকা, ললিতা আলু প্রতি কেজি ১২ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। একমাত্র লেবুর দাম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে পিরিজপুর পাইকারি বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কৃষকরা যেমন সস্তায় সবজি বিক্রি করছে, তেমনি তাদের কাছে দেশি পাইকার ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ থেকে আসা পাইকাররাও খুব একটা সবজি নিচ্ছে না। এখন কৃষকদের নিকট থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে তারাও বিপাকে পড়েছেন। তাদেরও এখন লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের কলার বাজার সবজির বাজার থেকে তুলনামূলকভাবে ভালো বলে অনেকেই জানান।