নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রায় ২৮১ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খবিরুল আহসানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব মাছ জব্দ করা হয়। এ সময় আদালত নিষিদ্ধ রাক্ষুসে স্বভাবের পিরানহা মাছ বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত চার মাছ বিক্রেতাকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনেকটা রূপচাঁদার মতো দেখতে এই মাছের নাম পিরানহা। এ মাছ বাংলাদেশের জলজ পরিবেশের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এগুলো রাক্ষুসে স্বভাবের। অন্য মাছ ও জলজ প্রাণী খেয়ে ফেলে। তা ছাড়া দেশীয় প্রজাতির মাছ তথা জীববৈচিত্র্যের জন্যও এগুলো হুমকিস্বরূপ। এ কারণে সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তর এসব রাক্ষুসে মাছের পোনা উৎপাদন, চাষ, বংশ বৃদ্ধিকরণ ও বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
উপজেলার রামপুরবাজারের মাছের আড়তে অন্য মাছের নামে কৌশলে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে স্বভাবের পিরানহা মাছ ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে- গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খবিরুল আহসানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ওই আড়তে অভিযান চালান। এ সময় আদালত প্রায় ২৮১ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করেন। সেই সঙ্গে রাক্ষুসে স্বভাবের এসব মাছ বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত চারজন মাছ বিক্রেতাকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে দণ্ডিতরা অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান। পরে এসব মাছ কয়েকটি এতিমখানা ও মাদরাসায় বিতরণ করা হয়। এ সময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ও থানা-পুলিশ আদালতকে সহায়তা করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, জনস্বার্থে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ ক্রয়-বিক্রির বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।