1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয় : তারেক রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ সংস্কার কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আইসিসির আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো, হুংকারের পরেই জুতা নিক্ষেপ

ময়মনসিংহে কবর থেকে ছেলের লাশ ওঠানোর সময় মায়ের আহাজারিতে কাঁদল সবাই

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় সাজ্জাত নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যুর সাড়ে চার মাস পর কবর থেকে লাশ তোলা হয়েছে। এ সময় নিহত শিশুর মায়ের কান্নায় হৃদয়-বিদারক এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ৬নং চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের চর লক্ষ্মীপুর কাছিমুল উলুম মাদরাসার গোরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেনের উপস্থিতিতে সাজ্জাতের লাশ তোলা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আবুল কাশেম ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই ইন্সপেক্টর আবুল কাশেম বলেন, নিহত শিশুর মা আনোয়ারা বেগম ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তর করেন। একইসঙ্গে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর লাশ উত্তোলনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দেন। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের পর আজ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লাশ ময়নাতদন্ত করে করে আবারও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে এবং এর সুষ্ঠু বিচার যেন শিশুর পরিবার পায় তার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশেই লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিহত শিশুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ১ অক্টোবর সাজ্জাতের এপেন্ডিসাইডের ব্যথা উঠলে নগরীর চরপাড়ার ব্রাহ্মপল্লী এলাকার রেজিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করান। ক্লিনিকের মালিক হাসানুজ্জামান তার ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন।

ভর্তির পর ওই রাতেই অপারেশন করতে হবে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক হাসানুজ্জামান ও তার স্ত্রী পরিচালক সাবিনা ইয়াসমিন। পরে অপারেশন করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জন ডিসি বর্মণ ও অজ্ঞানের ডাক্তার টিকে সাহা এবং ডাক্তার প্রীতি রঞ্জন রায়।

আনোয়ার বেগম আরও বলেন, তাড়াহুড়া করে অপারেশন করে ডাক্তাররা চলে গেলে ছেলের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তখন ক্লিনিকের লোকজনের সহযোগিতা চাইলে কেউ তাদের সহযোগিতা করেনি। ছেলের খারাপ অবস্থার জন্য তারা কোনো দায়ভার নেবে না বলে ভোরে কর্তৃপক্ষ তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। পরদিন সকালে ২ অক্টোবর সাজ্জাতকে কোলে করে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি করলে মামলাসহ বড় ধরনের ক্ষতি করা হবে বলেও হুমকি দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। দুই ছেলে নিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে তার সংসার চলত। অপারেশনের টাকাও ঋণ করে দিয়েছিলেন। ছেলে মারা গেলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের সহযোগিতা বা সান্ত্বনা দেয়নি।

বিচার দাবি করে আনোয়ারা বলেন, রেজিয়া ক্লিনিকের চিকিৎসকরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।

নিহত শিশু সাজ্জাত সদর উপজেলার ৬নং চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি