1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার : প্রেস সচিব সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যমুনায় বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজীবী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম হাসনাত-সারজিসের মার্কিন দূতাবাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারের জামিন চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া দুপুরে শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এরা কারা, কি পরিচয় এদের: ইসকন সম্পর্কে হাইকোর্ট

আজ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫২ মৃত্যুবার্ষিকী

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তরূপে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিহত হন। সেই সময়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব অভিযুক্তের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী যে গণআন্দোলন চলছিল, সার্জেন্ট জহুরুল হকের হত্যাকাণ্ডে তা আরও তীব্রতা লাভ করে।

বাংলাদেশের মানুষ দেশমাতৃকার মুক্তিপ্রয়াসী এই বীর যুবককে সেদিন কেবল শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেননি, দেশে স্বায়ত্তশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার নামে শপথ গ্রহণ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ সেদিন ইকবাল হলের নাম পরিবর্তন করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল নাম প্রবর্তন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে বিমানবাহিনীর চট্টগ্রাম বেইজও সার্জেন্ট জহুরুল হক নামাঙ্কিত হয়।

তিনি ১৯৩৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার সোনাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৫৬ সালে জগন্নাথ কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে একই বছর পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৬৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্যান্টমেন্টে সৈনিকদের খাবারের উচ্ছিষ্ট সংগ্রহের জন্য বাঙালি শিশুরা ভিড় করে। এতে অবাঙালি সৈনিকরা কয়েকজন অভুক্ত শিশুকে ধরে এনে বন্দিশিবিরের সামনে অমানবিকভাবে প্রহার শুরু করে। কয়েকজন বন্দি এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে হাবিলদার মনজুর শাহর সঙ্গে জহুরুল হক তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েন। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা জহুরুল হক ঘর থেকে বের হলে মনজুর শাহ তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি তার পেটে বিদ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জহুরুল হকের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে জনগণ প্রচণ্ড আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে। শেষ পর্যন্ত আইয়ুব সরকার ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সব বন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মানুষ দেশমাতৃকার মুক্তিপ্রয়াসী এই বীর যুবককে সেদিন কেবল শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেননি, দেশে স্বায়ত্তশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার নামে শপথ গ্রহণ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ সেদিন ইকবাল হলের নাম পরিবর্তন করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল নাম প্রবর্তন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে বিমানবাহিনীর চট্টগ্রাম বেইজও সার্জেন্ট জহুরুল হক নামাঙ্কিত হয়।

২০১৮ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন সার্জেন্ট জহুরুল হক।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি