রাত পোহালেই শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সকল নির্বাচনী সরঞ্জাম স্ব স্ব কেন্দ্রে পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া বিভিন্ন প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের তালিকা করেছে নির্বাচন কমিশন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোন অনিয়ম বরদাস্ত করবে না নির্বাচন কমিশন। ভোটের মাঠে কোন অনিয়ম দেখলেই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে কমিশন।
নির্বাচন সুষ্ঠ করতে শেরপুর পৌরসভায় ৩৫টি ভোট কেন্দ্রের জন্য তিন টিম র্যাব, তিন প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত পুলিশ, ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে উপস্থিত থাকবেন এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ৯টি ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন র্যাব, ২ প্লাটুন বিজিবি, ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট নির্বাচনী মাঠে উপস্থিত থাকবেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, শেরপুরে ৭জন মেয়র, কাউন্সিলর ৪৯জন, সংরক্ষিত আসনে ১৮জন প্রার্থী এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ৪জন মেয়র, কাউন্সিলর ৩২, সংরক্ষিত আসনে ১৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামীকাল শেরপুর পৌরসভায় ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রের ১৯৪টি ভোট কক্ষে ৩৬হাজার ৬শ ৪০জন পুরুষ, ৩৯হাজার ৯৮জন মহিলা ভোটারসহ মোট ৭৫হাজার ৭শ ৩৮ জন ইভিএমে এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ৯টি ভোট কেন্দ্রের ৫৭ টি ভোট কক্ষে ১০হাজার ২শ ২৯জন পুরুষ, ১০হাজার ৬শ ৮০জন মহিলা ভোটারসহ মোট ২০হাজার ৯শ ৯জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।