স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকার তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং পাঁচ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ময়মনসিংহের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা ছিল তাদের।
মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সদস্য সচিব সেলিম সরকার বলেন, ‘তাদের যদি এই রায় না দিয়ে, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতো তাহলে মানুষ শান্তি পেত। তবে অনেকদিন পরে এমন রায় হওয়ায় সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানাই। জীবনের শেষ সময়ে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে পারছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় জাতির বহুল প্রত্যাশিত একটি রায়। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অবশ্যই এটি আমার কাছে আনন্দের সংবাদ। তবে তাদের সর্বোচ্চ সাজা কাম্য ছিল আমাদের। তবে রায় হয়েছে এতেই আমরা খুশি।’
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এম. ইদ্রিছ আলী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে হত্যা-লুণ্ঠন নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে বুকের ভেতর বড় ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। স্বাধীনতার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধে স্বজন হারানো পরিবারের পাশাপাশি স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রত্যেকটি মানুষ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রত্যাশা করে আসছেন। দীর্ঘদিন পরে সেই বিচার সম্পন্ন হচ্ছে। তবে অপরাধের সাথে জড়ির সবারই সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা ছিল আমাদের। তারপরও রায়ের মাধ্যমে জাতি কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত হতে পারছে।’