১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবস। দিবসটি উদযাপনের জন্য বর্ণিল সাজে সেজেছে কৃষি শিক্ষার আঁতুরঘর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
পথে পথে টাঙানো হয়েছে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ফেস্টুন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আসতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইবৃন্দ। পুরো ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকেও গুরুত্ব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরটি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু চত্বর নামে পরিচিত। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) এক সাধারণ সভায় ১৩ ফেব্রুয়ারিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে করা হয়েছে বৃহৎ প্যান্ডেল। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নানকে সম্মাননা প্রদান করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় থাকবে ফানুস উড্ডয়ন, আনন্দ শোভাযাত্রা, অ্যালামনাই সমাবেশ ও কৃতী অ্যালামনাই সংবর্ধনা, সেমিনার ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক কৃষিবিদ ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। আলোচক হিসেবে থাকবেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও বিডিবিএল’র সাবেক চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মো. ইয়াছিন আলী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। পরবর্তীতে বর্ণাঢ্য র্যালি, কৃতি অ্যালামনাই সংবর্ধনা, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে কৃষি উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত ও সংহত করার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক জাতীয় সেমিনার এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এ বিষয়ে মঞ্চ ও ভেন্যু ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবু সালেহ মাহফুজুল বারি বলেন, কৃষিবিদ দিবস উদযাপনের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। আমরা কৃষিবিদদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত।