আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কে এম খালিদ স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে গতকাল মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষ্য দেন প্রতিমন্ত্রী।
অন্যদিকে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের খলিলুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ট্রাইব্যুনালে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের বর্ণনা দেন এবং সাবেক সংসদ সদস্য হান্নানের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। খালিদ জানান, ১৯৭১ সালের ৭ আগস্ট বিকেলে তাঁকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে মারতে মারতে এম এ হান্নানের বাড়ির দোতলায় নেওয়া হয়। পরে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টর্চারসেল’-এ আটক রাখা হয়। তখন তিনি নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখনো আমার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।’
ময়মনসিংহের ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন ২০১৫ সালের ১৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় ওই বছরের ১০ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধকালীন ময়মনসিংহে শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান ও তাঁর ছেলে ডা. রফিক সাজ্জাদকে ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশাল থেকে আরো তিন আসামি ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেক আসামি আবদুস সাত্তার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন। ফলে ছয় আসামি এখন কারাবন্দি। এ ছাড়া ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী নামের দুই আসামি পলাতক।