অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো এখন জনশূন্য প্রায়। চারদিকে বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা। খেলার মাঠগুলো আর আগের মতো মুখরিত থাকে না। পদচারণা না থাকায় মাঠের ঘাসগুলো ঘন হয়ে গেছে। এই সুযোগে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণে যেন গোচারণ ভূমিতে রূপ নিয়েছে খেলার মাঠগুলো।
বহিরাগতরা তাদের গরু-ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জায়গা হিসেবে ব্যবহার করছেন এ মাঠগুলো। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এমনই এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বাকৃবি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি স্টেডিয়াম ও পাঁচটি খেলার মাঠ। ফাঁকা ক্যাম্পাসে গরু-ছাগলের দখলেই থাকে খেলার মাঠগুলো। গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ দেখে যে কেউ খেলার মাঠগুলোকে গোচারণ ভূমি ভেবে ভুল করতে পারেন। কখনো কখনো গবাদিপশু আবাসিক হলের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। হলের বাগানের গাছপালা নষ্ট করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়। যত্রতত্র গবাদিপশুর বিষ্ঠা পথচারীদের যাতায়তেও সমস্যার সমষ্টি করে।
সামিউল আলম নামের এক পথচারী বলেন, প্রতিদিন এই পথ দিয়েই আমাকে অফিসে যেতে হয়। গবাদিপশুর যত্রতত্র বিষ্ঠার কারণে পথ চলতে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কখনো কখনো গরুর পাল রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে পড়ে। তখন যানবাহন চালাতেও সমস্যা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল হক বলেন, করোনার কারণে ক্যাম্পাস ফাঁকা থাকার জন্যই মূলত তারা সুযোগ নিয়েছে। আমি নিরাপত্তা শাখার সঙ্গে কথা বলবো। খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে খেলার মাঠগুলো সংস্কারসহ গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ বন্ধ চান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে তাদের।