1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয় : তারেক রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ সংস্কার কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আইসিসির আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো, হুংকারের পরেই জুতা নিক্ষেপ

সড়ক বাড়েনি ১ কিলোমিটার,যানবাহন বেড়েছে পাঁচ গুণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

২০১১ সালে ময়মনসিংহ শহরে মানুষের সংখ্যা ছিল মাত্র আড়াই লাখ। শহরে রিকশা-ইজিবাইকের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার। বিভাগ ও সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর চলতি বছর শহরের বাসিন্দা বেড়ে সাড়ে আট লাখ হয়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজারের বেশি। মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি ও সরকারি গাড়ির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে সড়কের সংখ্যা এক কিলোমিটারও বাড়েনি।

জনসংখ্যা ও যানবাহনের চাপ বাড়ায় শহরে চলাফেরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি আবদুল কাদের চৌধুরী বলেন, মহানগরীর এমন কোনো মোড় নেই, যেখানে যানজট নেই। প্রতিটি রাস্তায় চলতে হয় ধীরগতিতে কিংবা থেমে থেমে। শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দূরত্ব ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার হলেও অটোরিকশায় এটুকু পথ পারি দিতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। কয়েকটি মোড়ের জ্যাম ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়।

নিসচার তথ্য ও বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, যানজট সামাল দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল, কিন্তু কার্যত কোনো সুফলই পাওয়া যায়নি। ১৯৯৭ সালে শহরের সাতটি মোড়ে ডিজিটাল সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়। কয়েক বছর পর বাতিগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। এগুলো পরে আর চালু করা হয়নি। যানজট কমিয়ে গণপরিবহন ব্যবস্থা কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে টাউন সার্ভিস বাস চালু করা হয়েছিল। এক বছর পর রাজনৈতিক কারণে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৫ সালে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা নিবন্ধন করে চালানোর নিয়ম করা হয়। তাতেও সুফল পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে নিবন্ধন করা যানগুলোকে সপ্তাহে তিন দিন করে লাল-সবুজ রঙে পৃথক করে চলাচলের নিয়ম তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতিতে মহানগরীতে যানজট কমে এসেছিল। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছিল। সেই সুযোগে আবার অনিয়ম শুরু হয়।

সর্বশেষ রোড ডিভাইডারের বেশ কয়েকটি ইউটার্ন বন্ধ করে পুলিশ প্রশাসন। এতে যান চলাচলে সুবিধা হলেও বেশির ভাগ স্থানে এর প্রভাবে উল্টো পথে যান চলতে দেখা যায়। মহানগরীর ১৮টি পয়েন্টে ১০৯ জন ট্রাফিক পুলিশ পালা করে দায়িত্ব পালন করেন। এই জনবল নিয়ে এত সংখ্যক যানবাহনের চাপ সামাল দেওয়া বেশ দুরূহ কাজ বলছেন ট্রাফিক পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে মহানগরীর কোনো রাস্তা প্রশস্ত হয়নি এবং নতুন রাস্তা তৈরি হয়নি। বহুতল ভবনের পার্কিং ব্যবস্থাপনার অভাব, শহরের ভেতর বাসস্ট্যান্ড, রাস্তা বেদখলের কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে।

সিটি মেয়র ইকরামুল হক বলেন আগের মতো মহানগরীতে নিবন্ধনের ভিত্তিতে জোড়-বেজোড় এবং লাল-সবুজ রং করে পৃথকভাবে বিভক্ত করে ইজিবাইক চলাচলের নিয়ম কার্যকর করা হবে। অনিবন্ধিত যান বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সড়ক প্রশস্তকরণে কাজ শুরু করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি