মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের খলিলুর রহমানসহ ৯ জনের রায় আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, দীর্ঘ দিন অপেক্ষায় থাকার পর মামলাটি রায়ের জন্য তারিখ ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন। আশা করি রায়ের আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এ মামলায় ১১ জন আসামি ছিল। বিচার চলাকালীন দুই জন মারা যান। ২০১৮ সালের ৪ মার্চ চারটি অভিযোগে ময়মনসিংহের ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া গ্রেপ্তার আছে- ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রামের খলিলুর রহমান মীর (৬২), একই গ্রামের মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম (৬৫), একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (৬২), মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী (৭৪)। আসামি আব্দুল লতিফ স্বেচ্ছায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়। বিচার চলাকালীন আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার (৬৮) ও নুরুল আমীন শাজাহান মারা যান। এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে- এএফএম ফায়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম, আলীম উদ্দিন খান। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু হয়।