নির্যাতনের স্বীকার গৃহকর্মীর (১২) চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। প্রাথমিক পর্যায়ে নগদ ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ওই শিশুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে অসুস্থ অবস্থায় গৃহকর্মীকে তার বাবার কাছে দিয়ে কৌশলে চলে যাওয়ার সময় দম্পতিকে আটকে ফেলা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করেন। সেদিন রাতেই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী শারমিন রহমান ও প্রতিবেশী জালাল উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন।
মিজানুর রহমান অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক। ঢাকার ইন্দিরা রোডে একটি ফ্ল্যাট বাসায় কিশোরীকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক আবদুল হাই তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আজ সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সুব্রত সাহা বলেন, শিশু নিশি নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, অমানুষিক আচরণ করে কিশোরীটির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তার সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। নির্যাতনকারী দম্পতিকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীটির চিকিৎসাব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানান, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দরিদ্র পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং কিশোরীর চিকিৎসার যাবতীয় দেখভাল করা হচ্ছে। নির্যাতনকারী দম্পতির বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।