ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার শাইখুল হাদীস, ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতীব আল্লামা শামসুল ইসলাম (৬৮) প্রায় ১৯ দিন আইসিইউতে থাকার পর সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ৫মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি তাঁকে প্রথমে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রথমে আজগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে তাঁর ইন্তেকালের খবর নিশ্চিত করেছেন শাইখুল হাদীস আল্লামা শামসুল ইসলাম (র.) এর জামাতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম মামুন।
তাঁর মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশের আলেমসমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর আত্মার মাগফিরাতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবার। মরহুমের জানাযা ও দাফনের ব্যাপারে পরবর্তীতে জানানো হবে।
মরহুম শাইখুল হাদীস আল্লামা শামসুল ইসলাম একজন বিচক্ষণ ও বর্ষীয়ান আলেম। প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিদগ্ধ আলেম আল্লামা শামসুল ইসলামের হাদীস শাস্ত্রের উপর বিশেষ দক্ষতা থাকায় আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ায় ১৯৮৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সাথে পাঠদান দিয়ে আসছিলেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে দ্বীনের প্রচারে তাঁর অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। ফলে পুরো দেশেই তাঁর হাজারো ছাত্র ও ভক্ত রয়েছে।
এছাড়া আল্লামা শামসুল ইসলামের তাফসির শাস্ত্রেও অসামান্য দক্ষতা থাকায় ১৯৮৬ সাল থেকে ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় কোরাআনে পাকের তাফসির করে আসছিলেন।
জীবদ্দশায় তিনি সূরা ফাতেহা থেকে শুরু করে সূরা ইকরা পর্যন্ত তাফসির সম্পন্ন করেছেন। তার তাফসিরেও হাজারো মহিলা দ্বীনের পথে ফিরে এসেছেন। এ জন্য কিশোরগঞ্জের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতার মধ্যমণি হিসেবে সবাই তাঁকে সমীহ করেন।