পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহীদকে টিকাদানের মধ্য দিয়ে আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঘাটাইল পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহীদের পর এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক আলমগীর কবির, ডাঃ বনানী ভৌমিক, নার্সিং সুপারভাইজার শামসুন্নাহার প্রমুখ। টিকা নেয়ার পর তাঁদেরকে আধাঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পর্যবেক্ষণে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান।
ডা. সাইফুর রহমান খান জানান, গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রথম পর্যায়ের ১৩ হাজার ৯১০ ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষর মাধ্যমে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বুঝে নেয়। পরবর্তীতে তা যথানিয়মে আমাদের কোল্ডরুমে সংরক্ষণ করা হয়। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হল। উদ্বোধনী দিনে ৬০ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আজকে যাদেরকে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। চিকিৎসকগণ ভ্যাকসিন গ্রহণের আধাঘণ্টা পর থেকে স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করছেন।
ঘাটাইল পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান শহীদ প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর এখনও আমার মধ্যে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আমার কোনো খারাপ কিছু অনুভুত হচ্ছে না। আমি সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় আমার প্রাত্যহিক কাজকর্ম অব্যাহত রেখেছি।
করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান কিছু অপপ্রচারকে গুরুত্ব না দিয়ে সকলকে এই ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্ভুদ্ধ করতে আহব্বান জানান। সকলকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে জানিয়ে সংসদ সদস্য সে সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের সর্বাধিক ভালো যা সেটিই সঠিক সময়ে দ্রুত সম্পাদন করেন। তার দূরদর্শী চিন্তাভাবনার ফলশ্রুতিতেই বাংলাদেশের মানুষ দ্রুত মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য এই ভ্যাকসিন পাচ্ছে।