ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দরিদ্র প্রতিবন্ধী বাবা মেয়েকে ঢাকার তেজগাঁওয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে দেন। সেই গৃহপরিচারিকাকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
শনিবার শিশুটিকে ময়মনসিংহে পরিবারের কাছে নিয়ে গেলে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয় পরিবার। আটক করা হয় অভিযুক্ত দুইজনকে। মেয়েটি বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় রয়েছে।
মেয়েটির সাথে কথা বললে উঠে আসে নির্যাতনে ভয়াবহ চিত্র। এ যেন মধ্যযুগীয় নির্যাতনকে হার মানায়। শরীরের এমন কোন স্থান বাকি নেই যেখানে নেই নির্যাতনের চিহ্ন। কখনো গরম পানি, কাটাচামচ গরম করে ছ্যাকা, মারধোর নানা ভাবে নির্যাতন করা হয় শিশুটিকে। শিশুটি জানায় প্রতিদিনই নির্যাতন করা হতো তাকে। বাবা মায়ের সাথে ফোনে কথা বলতেও দেয়া হত না।
নির্যাতিতার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী মজিবর মিয়া জানান ঢাকার তেজগাঁওয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় চার বছর ধরে কাজ করতো তার মেয়ে নিশি। মেয়ের সাথে দেখা করার সুযোগও দেয়া হত না। শেষে শিশুটির মা মৃত্যুশয্যায় বলে মেয়েকে ফেরত চায় মজিবর। শনিবার সন্ধায় ময়মনসিংহ পাটগুদাম বাস টার্মিনালে মেয়েকে বুঝিয়ে দিতে আসে অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এসময় নির্যাতনের চিহ্ন দেখে ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী শারমিন রহমান মুন্নিকে পুলিশে দেয় নিশির পরিবার।
নিশির চাচা উজ্জল মিয়া বলেন যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা বর্বরতাকেও হার মানায়। আমরা চাই দোষিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানান এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং দুইজনকে আটক করা হয়েছে।