কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রথম দফায় ভৈরব ট্রমা সেন্টারে (বিশেষায়িত হাসপাতাল) ৯ হাজার ৫শ’ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব ভ্যাকসিন ভৈরবে পৌঁছায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করোনার ভ্যাকসিনগুলো নিয়ে আসা হয়।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ভ্যাকসিনের অ্যাম্বুলেন্সটি পৌঁছালে ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ খুরশীদ আলম।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ খুরশীদ আলম জানান, ভৈরবের বিশেষায়িত হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ভৈরবে ভ্যাকসিন দিয়ে উদ্বোধন করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা। পরে এই কার্যক্রম বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে।
ভৈরব ট্রমা হাসপাতালের নির্ধারিত কেন্দ্রে একাধিক বুথে এ টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫৫ বছরের বেশি বয়স যাদের তারা জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করে এ ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন।
ভৈরবে পাওয়া ৯ হাজার ৫শ’ ডোজ ভ্যাকসিন ৪ হাজারেরও বেশি লোককে দেয়া হবে। এই ডোজের মধ্যে অর্ধেক ডোজ দেয়া হবে প্রথম ডোজ হিসেবে এবং ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেয়া হবে।
এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২ সপ্তাহ পর্যন্ত। নিবন্ধন ছাড়া কেউ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা জানান, ভৈরবে এ পর্যন্ত করোনায় ১৫ জন মারা গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সহযোগিতায় ভৈরবের ট্রমা সেন্টারটি করোনার রোগীদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ভ্যাকসিন পৌঁছার কারণে ভৈরববাসী এখন করোনা নিয়ে অনেকটা চিন্তামুক্ত থাকতে পারবে।