জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে আজ মঙ্গলবার থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এই দুটি মামলায় বিজয়ী, পরাজিত প্রার্থীসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার, বিজয়ী ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে গত শনিবার রাতে শিমলাবাজার এলাকায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর আবদুল হক তরফদার ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কালাচান পালের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক নাইমুর রহমানকে (১৯) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে নাইমুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পরাজিত প্রার্থী কালাচানের সমর্থক তোতা মিয়া বাদী হয়ে বিজয়ী কাউন্সিলর আবদুল হক তরফদারকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে আজ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে গতকাল সোমবার রাতে পরাজিত প্রার্থী কালাচান পালের সমর্থকেরা বিজয়ী কাউন্সিলর আবদুল হক তরফদারের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় আবদুল হক তরফদারের ছোট বোন আইরিন তরফদারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে আহত আইরিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আজ আবদুল হক তরফদার বাদী হয়ে পরাজিত প্রার্থী কালাচান পালকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানা মামলা দায়ের করেন।
আবদুল হক তরফদার জানান, ‘আমার বাড়িতে পরাজিত প্রার্থী কালাচান পালের নির্দেশে তাঁর সমর্থকেরা হামলা করে আমার বোনকে আহত করেন। এ ঘটনায় পরাজিত প্রার্থী কালাচান পালকে প্রধান আসামি করে থানায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
কালাচান পাল জানান, ‘আমার সমর্থক নাইমুর রহমানকে বিজয়ী কাউন্সিলর আবদুল হক তরফদারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় আবদুল হক তরফদারকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেছি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।