ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় এনটিভি ও একাত্তর টিভি’র ক্যামেরাপারসনকে হামলা ও আহত করার প্রতিবাদে গৌরীপুরের সাংবাদিকবৃন্দ স্থানীয় মধ্যবাজারে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৩টায় মানববন্ধন করেছে।
এ মানববন্ধনত্তোর সমাবেশে গৌরীপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক এইচ.এম খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ম. নূরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু, কমল সরকার, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মশিউর রহমান, সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বেগ ফারুক আহাম্মেদ, গৌরীপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রায়হান উদ্দিন সরকার, প্রেসক্লাবের সদস্য কাজী আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাংবাদিক শেখ মোঃ বিপ্লব প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি কামরান পারভেজ ও গৌরীপুরে কর্তব্যরত সকল সংবাদকর্মীগণ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা খুবই ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক ঘটনা। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হামলার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে এবং ৭২ ঘন্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার ব্যত্যয় হলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এনটিভি’র ক্যামেরাপারসন মাসুদ রানা বলেন, দুপুরে লেবু স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যাওয়া মাত্রই আমাদেরকে দেখে দুর্বত্তরা ধর ধর বলে চিৎকার করে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে এলোপাতারি মারতে থাকে। এ সময় আমার হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে এবং আমাকে ও নুরুজ্জামানকে মাথায়, হাতে, পায়ে ও পিঠে গুরুতর আঘাত করে। পরে আমাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারী গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলামের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় এনটিভি ও একাত্তর টিভি’র ক্যামেরাপারসন মাসুদ রানা ও নুরুজ্জামান আহত হয়।