বাসায় মেহমান এসেছে তাই গৃহকর্মীকে বলা হয় নাস্তা বানাতে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য নাস্তা বানাতে অপারগতা দেখায় গৃহকর্মী সাবিনা। এরপর মেহমান চলে গেলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতন। একপর্যায়ে হত্যা করা হয় তাকে। সেই লাশ লাগেজে ভরে ফেলে আসা হয় ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে । গত ৯ নভেম্বরে ময়মনসিংহের গৌরিপুরে সড়কের পাশে লাগেজের ভিতর থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এসব রহস্য উন্মোচন করে পিবিআই ময়মনসিংহ। সেখান থেকেই জানা যায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ ঘটনায় গৃহর্কতা ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে অপরাধী।
গত ৯ নভেম্বর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরিপুরে লাল রঙের লাগেজ থেকে উদ্ধার করা হয় এক নারীর লাশ। ঘটনার তদন্তে নামে ময়মনসিংহ পিবিআই। সনাক্ত হয় সদরের ঘাগরা এলাকায় সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাবিনার লাশ এটি। গৃহকর্মীর কাজ করতো ময়মনসিংহ শহরের তৈমুর এক্সেল টাওয়ারের ১৪ তলায় ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়েরের বাসায়। সেখানেই হত্যা করা হয় সাবিনাকে। পি বি আই ময়মনসিংহ এর পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান এ ঘটনায় বুধবার রাতে বাড়েরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী রিফাত জেসমিন। নিহতের বাবা, মা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে।
শুক্রবার দুপুরের পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়েরে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। স্বামী স্ত্রী উভয়কে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।