কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে মাদরাসা থেকে নিখোঁজের পর পুকুর থেকে ওয়ালী উল্লাহ (১১) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বৌলাই এলাকার হাজি আজিম উদ্দিন দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিশুটি নিখোঁজ হলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজের সংবাদ জানানো হয়নি পুলিশ কিংবা শিশুটির পরিবারকে।
নিহত ওয়ালী উল্লাহ হাজি আজিম উদ্দিন দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার আবাসিক ছাত্র ও করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের নানশ্রী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
এলাকাবাসী ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার মাদরাসার পুকুরে সহপাঠীদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি ওয়ালী উল্লাহ। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মাদরাসার শিক্ষকদের জানানো হলেও আমলে নেয়নি তারা।
নিহতের স্বজনদের দাবি- আবাসিক মাদরাসা থেকে একজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর জানার পরও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমনকি নিখোঁজের বিষয়টি শিশুটির পরিবার কিংবা থানা পুলিশকে জানানো হয়নি।
শিশুটির বাবা মজিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলে মাদরাসা থেকে গতকাল নিখোঁজ হলেও মাদরাসার শিক্ষকরা আমাকে এ খবর জানাননি। আজ লাশ পাওয়ার পর ফোন করে আমাকে ঘটনা জানানো হয়। আমার ছেলে কীভাবে মারা গেছে জানতে চাই। শিক্ষকদের গাফিলতির বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মাদরাসার কোনো শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মাদরাসার এক শিক্ষককে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমারা শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি আগে জানতে পারিনি। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাদরাসার দুই শিক্ষক ও মসজিদের ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
জানা গেছে, ওয়ালী উল্লাহ এক বছর আগে হাজি আজিম উদ্দিন দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি হয়। মাদরাসাটিতে ১২০ জন আবাসিক শিক্ষার্থী থাকলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দুইজন।