করোনার ভ্যাকসিন নিতে চলেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিজের দেশেরই ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ফাইভ’ নেবেন তিনি। এমনটাই জানানো হয়েছে মস্কোর পক্ষ থেকে।
ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে করোনার টিকা নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও করোনার টিকা নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এক সাক্ষাৎকারে রুশ সরকারি চ্যানেল রসিয়া ওয়ান টিভি’কে এমনটাই জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। সোমবারই গণহারে টিকাকরণ শুরু হবে রাশিয়ায়। ওদিনই টিকাটি নিতে পারেন পুতিনও। পেসকভের কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন তিনি করোনার টিকা নিতে প্রস্তুত। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এতদিন ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মানার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন।’’
এর আগে বিশ্বে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আসার ঘোষণা করেছিল রাশিয়াই। নানা বিতর্কের মাঝেও পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক ফাইভ’ মানুষের শরীরে নিরাপদ ও সুরক্ষিত। টিকার প্রথম ডোজ তাঁর মেয়েকে দেওয়া হয়েছে। কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ভ্যাকসিন বন্টনের কর্মসূচিও শুরু হয়ে যায় রাশিয়ায়। এরপর সম্প্রতি রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, বয়স্কদের শরীরে আলাদা করে টিকার ট্রায়াল হয়েছে। সেখানে সাফল্য মেলার পরেই গণহারে টিকাকরণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সোমবার থেকে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদেরও টিকা দেওয়া শুরু করবে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং আরডিআইএফ (রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে গামালিয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিয়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি (Gamaleya National Research Center of Epidemiology and Microbiology)। রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী এটিই পৃথিবীর প্রথম কার্যকরী করোনা ভ্যাকসিন। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। এমনকী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনে এখনও ছাড়পত্র পর্যন্ত দেয়নি।