প্রথম ধাপে দেশের ২৩ জেলার ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এবারই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। গাজীপুরের শ্রীপুরে একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হলে এই ধাপ থেকে শ্রীপুর পৌরসভার ভোট স্থাগিত করে ইসি।
ভোট উপলক্ষে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি ও হাইওয়ে নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
২৪ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জাপা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মেয়র পদে ৯৩, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ২৬৫ ও সাধারণ ওয়ার্ড কমিশনার পদে ৮০১ জনসহ তিন পদে মোট ১ হাজার ১৬০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বর্তমানে দেশে ৩২৯টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে ২৮ ডিসেম্বর, পঞ্চগড় পৌরসভা, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জ, ঢাকার ধামরাই, সুনামগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আইন অনুযায়ী পৌরসভায় নির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি প্রায় ২৫০টিরও বেশি পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।