অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত কাদেরের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ক্যান্সারের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আজ শনিবার সকালে মারা যান অভিনেতা আবদুল কাদের।
ব্যাক পেইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন আবদুল কাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এই অভিনেতাকে। সেখানকার হাসপাতালেই ১৫ ডিসেম্বর ক্যানসার আক্রান্তের খবর জানতে পারেন তিনি ও তার পরিবার। শুধু তাই নয়, জানা যায় ক্যানসার চতুর্থ স্তরে। সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।
শারীরিক দুর্বলতার কারণে কেমোথেরাপি না দিয়েই আবদুল কাদেরকে ২০ ডিসেম্বর দেশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার। দেশে ফিরে এদিনই ভর্তি করানো হয় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে। এর পর থেকে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে বদি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান আবদুল কাদের। নাটক, চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও দেখা গেছে তাকে। থিয়েটারেও সরব ছিলেন তিনি।