সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ম্যানেজমেন্টের বিপক্ষে রীতিমতো বোমা ফাঁটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন মোহাম্মদ আমির। অবসরের অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের বিপক্ষে মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ এনেছেন তিনি। জনসম্মুখে এ ধরণের মন্তব্য পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে বলে মনে করেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেট ফিরলেও শুরুতে নিজের সহজাত রূপে ফিরতে পারেনি আমির। তবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আলো ছড়িয়েছিলেন এই পেসার। পাকিস্তানের শিরোপা জয়েও রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তবে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়েছেন পাকিস্তানের এই তারকা পেসার।
এর আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেট মনোযোগী হতে ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। তবে তখন তাঁর এমন সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থক কিংবা বিশ্লেষকরা। গুঞ্জন উঠেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই পেসার।
এরপর বেশ কয়েকদিন আগে টিম ম্যানেজম্যান্টের ওপর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিদায় বলেন জাতীয় দলকে। বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ম্যানেজম্যান্টের সমালোচনা করলেও আমিরের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোভাবে নেননি অনেকে। ইনজামামও তাঁর ব্যতিক্রম নন।
বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ইনজামাম বলেন, ‘আমিরের সিদ্ধান্তটি আমাদের (পাকিস্তান) বোলিংয়ের শক্তিতে কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কারণ জীবন এগিয়ে চলেছে। তবে আমাকে যে বিষয়টি বেশি বিরক্ত করছে তা হল এই জাতীয় ঘটনাগুলি আমাদের ক্রিকেট এবং এর ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
প্রথমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিরতির ঘোষণা দেয়ার কিছুক্ষণ পরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আমিরের অবসরের বিষয়টি প্রকাশ করে। অভিমানী আমিরের এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরো গভীর আলোচনার প্রয়োজন অনুভব করছেন ইনজামাম। প্রয়োজনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলেও মত দেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইনজামাম বলেন, ‘তিনি যদি টিম ম্যানেজমেন্টের একজন বা দু’জনের ওপর অসন্তুষ্ট হন তবে তাকে প্রথমে প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত ছিল। প্রয়োজনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারত। কী করা উচিত তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই তাঁর এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন ছিল।’