এবার জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে এক নারীর শরীরে নতুন ধরনের ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। যা কিছুটা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জার্মানদের মধ্যে।
শুধু জার্মানি নয় ইউরোপের সবগুলো দেশেই খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবটি যে করোনায় ম্লান হবে সবাই জানতো। তবুও শত বাধা পেরিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও চিরায়ত সত্যের পথ ধরে প্রভু যিশুর জন্মদিনটিকে পালনে কমতি ছিল না ভক্তদের আগ্রহে।
করোনার বিধিনিষেধের মধ্যেও স্থানীয়দের মত প্রবাসী বাংলাদেশীরাও জগতের সকল মঙ্গলে আভির্ভূত হওয়া প্রভু যিশুর জন্মদিনটির জন্য রঙিন বাতি দিয়ে সাজিয়ে ছিল ক্রিসমাস ট্রি, আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা সভার ও সমবেত বন্দনা সঙ্গীতের। দিনটিতে সবার কণ্ঠেই ছিল করোনা থেকে মুক্তির আকুলতা।
তবে বড়দিনকে ছাপিয়ে ভয়ংকর খবর দিল জার্মান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ইতালির পর যুক্তরাজ্যে নতুন রূপ পাওয়া করোনা এবার ধরা পড়ল জার্মানিতেও। এমন খবরে শংকায় দেশটির সাধারণ নাগরিকরা।
স্থানীয় একজন জানান, দেখুন যদিও আমি বিশেষজ্ঞ নই, তবুও করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ নিতে পারার খবরে শঙ্কিত। এরই মধ্যে খবর পেলাম আমাদের জার্মানিতেও নতুন ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাই সবার আগে প্রবীন ও শিশুসহ ঝুঁকিতে থাকা সবাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করা উচিৎ। আজ আমাদের পবিত্র বড়দিন হলেও আমরা কারো সাথেই দেখা করছি না। সবাই সবার সাথে অনলাইনে আনন্দ ভাগাভাগি করছি।
এদিকে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পাহন জানান, বাডেন ভুর্টেমবার্গের জার্মান ওই নারী গত ২০ ডিসেম্বর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে পৌঁছানোর পর করোনা টেস্ট করানোর পর শরীরে করোনার নতুন ধরন বি১.১.৭ ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পান চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।