প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের যে কোনো দুর্যোগে কাজ করছে সেনাবাহিনী। শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেশের জন্য গর্বের।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বিএমএতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এ বাহিনী। করোনার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করেছে। এটা করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীতে নারী অফিসার অন্তর্ভুক্ত করে বর্তমান সরকার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৪১ সালে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য আজকের নবীন অফিসাররা দেশ গড়ার কারিগর হবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীকে দেশের উন্নতিতে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। নবীন সেনা সদস্যদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। তারা অল্প বয়সে চাকরিতে যোগদান করে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় না। তাই তাদের জন্য ৩ বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স ও ৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যেন তারা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি বর্তমানে গোটা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের প্রভাব শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়ছে এবং এর ফলে আমাদের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাচ্ছে, জীবনযাত্রা সীমিত হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৭৯তম দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ২০২০। এর মাধ্যমে ১১৬ বাংলাদেশি, ৩ জন ফিলিস্তিনি ও ১ জন শ্রীলংকান ক্যাডেটসহ ১২০ ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।