করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা অভিবাসীদের তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার প্রচেষ্টায় সহযোগিতাকারী অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে এমন ৭ শতাধিক অভিবাসীর নাগরিকত্ব অনুমোদন করা হয়েছে কিংবা তা অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এর মধ্যে রয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও দোকানকর্মী।
বিশ্বজুড়ে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের উচ্চ হারে কোভিড-১৯-এর সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে। এর মধ্যে চিকিৎসক ও নার্সসহ অনেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ফ্রান্স একটি। দেশটিতে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬২ হাজার মানুষের।
ফ্রান্স সরকার তাদের দেশে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে কাজ করা সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের পুরস্কারস্বরূপ নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্যোগটি প্রথম ঘোষণা করে গত সেপ্টেম্বরে। এর আওতায় এরই মধ্যে ৭৪ অভিবাসীকে ফরাসি পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আরও ৬৯৩ জন নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আর এখন পর্যন্ত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন ২ হাজার ৮৯০ জন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের নাগরিকত্ব বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী মারলিন শিয়াপ্পার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শিশুযতœ কর্মী, চেকআউটসহ সবাই এ দেশের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পালন করেছেন। এখন প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব হলো তাদের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।’
সাধারণত ফ্রান্সের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ওই অভিবাসীকে কমপক্ষে পাঁচ বছর দেশটিতে বসবাস করতে হয়, তার স্থিতিশীল আয় থাকতে হয় এবং ফরাসি সমাজের সঙ্গে একীভূত হতে হয়। তবে করোনাযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। করোনাযোদ্ধারা দুই বছর ফ্রান্সে থাকলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।