প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্প্রতি লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড এয়ার স্পেস বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিমান চলাচল, নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশ ও বিজ্ঞান চর্চা হবে। যার মাধ্যমে একদিন আমরা এই দেশেই যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারব।
তিনি বলেন, ‘শুধু যুদ্ধবিমান নয়, একদিন আমরা মহাকাশেও পৌঁছে যেতে পারি। সেই প্রচেষ্টাও আমাদের থাকবে।’
আজ রবিবার গণভবন থেকে বিমান বাহিনী একাডেমি যশোরে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীকে উন্নত ও আধুনিকায়নে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে চলমান করোনার কারণে আমরা তেমন অর্থ ব্যয় করতে পারছি না। তবে আমাদের বিমান বাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু শিক্ষা নয়, শিক্ষার সাথে প্রযুক্তি ও শিল্পায়নের সংমিশ্রনে শিল্প নির্ভর জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশে বিমানবাহিনী ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১-এর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিমানবাহিনী আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
এ সময় দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নবীন কর্মকর্তা হতে যাচ্ছেন, অর্থাৎ প্রশিক্ষণ শেষ করে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, সেই দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম থাকতে হবে। আর সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।
বিমানবাহিনীর নতুন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা, বক্তব্য বা কথাগুলো মনে রাখতে পারলে আমি মনে করি, নিজেদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে এবং দেশকেও অনেক কিছু দেওয়ার সুযোগ পাবে। আমি তোমাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এখন আমরা হয়তো ততটা অর্থ ব্যয় করতে পারছি না। তবে আমাদের পরিকল্পনা আছে আমাদের বিমানবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছি। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। যদিও আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, জন্মশতবার্ষিকী আমরা ব্যাপকভাবে করব। করোনার কারণে সেভাবে পারিনি। ভার্চুয়ালি এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু করার ততটুকু করেছি। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একইভাবে উদযাপন করব।