জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল রেলগেটে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে বাসের ১২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বাসচালক সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের মামুনুর রশিদ, হিচমী গ্রামের মানিকের ছেলে রমজান, পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের সরোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান রাব্বি, আক্কেলপুর উপজেলার চক বিলা গ্রামের দুদু কাজীর ছেলে সাজু মিয়া এবং নওগাঁর রানী নগর উপজেলার বিজয়কান্দি গ্রামের বাবু।
আহত তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার ফারুখ হোসেন, একই উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়া, টাঙ্গাইলের মাটিকাটা গ্রামের শুকুর আলীর জুলহাস।
নিহত ও আহত ব্যক্তিরা বাসের যাত্রী। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। এসময় পাঁচবিবি থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস জয়পুরহাটে যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে উঠে পড়ে। এতে ট্রেন ওই বাসটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রেনটি বাসটিকে রেললাইন ধরে ছেঁচড়িয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে নিয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হয়। আহত হয় ছয়জন।
শীতের সকালে ওই লেভেল ক্রসিংয়ে গেইটম্যান না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।