1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয় : তারেক রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ সংস্কার কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আইসিসির আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো, হুংকারের পরেই জুতা নিক্ষেপ

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে দ্বীপ জেলার ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতাযুদ্ধের মৃত্যুঞ্জয়ী সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন হাবিলদার ও মা মালেকা বেগম।

১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দরুইন গ্রামে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন তিনি। সেদিন তিনি একাই লড়াই করে বাঁচিয়ে দিয়েছেন সহযোদ্ধাদের প্রাণ।

পারিবারিকভাবে জানা যায়, ৫ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর স্ত্রীর নাম পিয়ারা বেগম। আশির দশকে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের পৈতৃক বাড়িটি বিলীন হয়ে যায়।

১৯৮২ সালে সরকার সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে মৌটুপি গ্রামে কিছু সম্পত্তিসহ তার পিতা-মাতার জন্য একটি পাকা বাসভবন নির্মাণ করে তাদের পুনর্বাসিত করে। বর্তমানে এ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল নগর রাখা হয়েছে। বাড়ির পাশেই ২০০৮ সালে সরকারিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’।

বীরশ্রেষ্ঠের স্ত্রী পিয়ারা বেগম ২০০৬ সালে ও একমাত্র ছেলে মোশারেফ হোসেন বাচ্চু ১৯৯৫ সালে মারা গেছেন। পুত্রবধূ পারভিন আক্তার মুক্তি বেঁচে থাকলেও নাতনি অনামিকা ২০০৪ সালে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। এ বছর বীরশ্রেষ্ঠের মা বীরমাতা মালেকা বেগম মারা যান।

মোস্তফা কামালের ছোট বেলা থেকেই স্কুলের পড়ালেখার চেয়ে ভালো লাগত সৈনিকদের কুচকাওয়াজ। নিজেও স্বপ্ন দেখেন একদিন সৈনিক হওয়ার। ১৯৬৭ সালে কাউকে কিছু না বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ক্রমশই স্বাধীনতার দাবিতে সারা দেশ উত্তাল হতে থাকে। ৭মার্চ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে বীরদর্পে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন মোস্তফা কামাল।

সিপাহী মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল ১টি মুক্তিযোদ্ধাদের দল ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য আখাউড়ার দরুইন গ্রামে অবস্থান নেয়। সংখ্যায় বেশি ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকা-বাহিনীর সাথে মোকাবেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল অদম্য মনোবল। প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুর জন্য প্রস্তত থাকে অস্ত্র হাতে।

১৮ এপ্রিল সকাল থেকেই আকাশে মেঘ ছিল। সকাল ১১টার দিকে শুরু হয় প্রচন্ড বৃষ্টি। একইসাথে শত্রুর গোলাবর্ষণ। মুক্তিযোদ্ধারও পাল্টা গুলি করতে শুরু করলো। শুরু হলো সম্মুখ যুদ্ধ। মেশিনগান চালানো অবস্থায় এক মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি লাগে। মুহূর্তের মধ্যে মোস্তফা কামাল এগিয়ে এসে চালাতে লাগলেন মেশিনগান। গর্জন করে উঠে তার হাতের অস্ত্র।

মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে কোন অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল না। সংখায়ও অনেক কম ছিলো তারা। আর পাকিস্থানী সৈন্যরা সংখায় ছিল অনেক বেশি ও ভারি অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত তারা। হয় সামনা সামনি যুদ্ধ করে মরতে হবে, নয় পিছু হটতে হবে। কিন্তু পিছু হটতে হলেও সময় দরকার। ততক্ষণ অবিরাম গুলি চালিয়ে শত্রুদের আটকিয়ে রাখতে হবে। কে নেবে এই মহান দায়িত্ব?

এমন সময় আরও একজন মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি বিঁধে। ততক্ষণে মোস্তফা কামাল সকল সহযোদ্ধাকে সরে যেতে বলেন। পরিখার মধ্যে সোজা হয়ে চালাতে লাগলেন স্টেনগান। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ছেড়ে যেতে না চাইলে তিনি আবারো সবাইকে নিরাপদে যেতে বলেন। অবিরাম গুলি চালাতে থাকেন তিনি। তার গোলাবর্ষণে শত্রুদের থমকে যেতে হয়েছে। মারা পড়েছে বেশ কয়েকজন পাক সৈন্য।

ততক্ষণে দলের অন্য সদস্যরা নিরাপদে পিছু হটেছেন। একসময় মোস্তফা কামালের গুলি শেষ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই একটি গুলি এসে লাগে তার বুকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। মারা যান মোস্তফা কামাল। তার এমন বীরত্বের কারণে সহযোদ্ধাদের প্রাণ রক্ষা পায়।

জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানকে দরুইনের মাটিতে সমাহিত করা হয়। অসীম সাহসিকতার জন্য তাকে সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার।

এদিকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দুপুর ১২টায় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মহাবিদ্যালয়ের আয়োজনে দোয়া, আলোচনাসভা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে মহান বিজয় দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের পক্ষ থেকেও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাইয়ের ছেলে অধ্যক্ষ সেলিম উদ্দিন জানান, প্রতিবছরের মতো এ বছরও বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের নামে প্রতিষ্ঠিত বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মহাবিদ্যালয়ের আয়োজনে মহান দিজয় দিবস ও বীরশ্রেষ্ঠের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি