দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির আওতায় ফুলবাড়ী ও বিরামপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবি চোরাচালান অভিযান চালিয়ে জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার মাদক সহ ১৭৭ জন চোরাকারবারীকে আটক করেন।
আটককৃত পণ্যের মধ্যে ৩১২৪৭ বোতল ফেন্সিডিল, মূল্য-১,২৪,৯৮,৮০০ টাকা, এমকে ডিল ৩৭২ বোতল, মূল্য ১,৪৮,৮০০ টাকা, বিদেশী মদ ৬২ বোতল ৯৩ হাজার টাকা, দেশী মদ-৪০৫ লিটার, মূল্য-১২১৫০০ টাকা, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ৭৩৮০ পিস, মূল্য ১১৩৭৪০০ টাকা, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ২২৭০০ পিস, মূল্য ২২৭০০০, যৌন উত্তেজক সিরাপ ৯৪৯৪ বোতল, মূল্য ১৫১৭৭৫০, গাঁজা ৮১.৭ কেজি, মূল্য ২৮৫৯৫০ টাকা, ইয়াবা ১৯৯৬ পিস, মূল্য ৫৯৮৮০০ টাকা, মোট আটককৃত পণ্যের মূল্য ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শরীফউল্লাহ্ আবেদ (এসজিপি) এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ফুলবাড়ী এবং বিরামপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যরা দিনরাত সীমান্ত পাহারার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণার নির্দেশনা অনুযায়ী চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদক নির্মুল অভিযান পরিচালনা করছি।
যে মাদক দেশ তথা দেশের চালিকা শক্তি যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে সেই মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিজিবি সদস্যগণ। মাদক দ্রব্য আটকের সময় মাদক ব্যবসায়ী বা মাদক চোরাকারবারী কর্তৃক অনেক সময় তাদের শারীরিক ক্ষতিসহ অঙ্গহানির মত ঘটনা ঘটে।
তথাপিও ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি সদস্যগণ এ সমস্ত ঘটনা উপেক্ষা করে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বদা আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সাথে পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি পহেলা জুন ২০২০ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উল্লেখ্য টাকার মালামাল আটক করেন।
ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শরীফউল্লাহ্ আবেদ (এসজিপি) যোগদানের পর থেকেই সীমান্ত এলাকায় দিনরাত চোরাচালান বন্ধ, নারী ও শিশু পাচার, সীমান্তে হত্যা সহ নানা রকম রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বর্তমান সীমান্তে চোরাচালান ও মানুষ হত্যা শূন্যের কোটায় এসেছে বলে জানান।