আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) আমরা ১ হাজার ২২২ জন বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছি। আগামী ২৬ মার্চ দেশব্যাপী পূর্ণাঙ্গ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা যখন নিশ্চিত হয়েছিল পরাজয়ের, যখন তাদের কাছে বিকল্প কোনো পথ ছিল না, তখন তারা জাতিকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে তালিকা করে বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আজকে মৌলবাদী গোষ্ঠী পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করে ধর্মের নামে মিথ্যাচার করছে। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে মৌলবাদী গোষ্ঠীর আস্ফালন আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে অশনি সংকেত। তাদের শেকড় অনেক গভীরে, তাদের সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ মৌলবাদী শক্তিকে উপড়ে ফেলতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। তাই আমরা কোনো পর্যায়েই ওদের বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নেইনি। আমাদের চেতনা দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিতে উজ্জীবিত হয়েই রাজনৈতিকভাবে এই বিষফোঁড়া উপড়ে ফেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ আছে।
রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগে রাজাকারদের তালিকা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল,আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না। ১৫ দিন আগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের সংশোধন করে রাজাকারদের তালিকা করার জন্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। জাতীয় সংসদে আগামী অধিবেশনে রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের আইন পাস হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ তালিকা করার সময় যাতে কারও প্রতি আক্রোশের বশবর্তী না হই, আবার বাড়তি আনুকূল্য দেখানোর জন্য কাউকে যেন বাদ দেয়া না হয়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা যেন তৃণমূল থেকে এ তালিকা করতে পারি, আইন পাস করার পরে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে তিনি বলেন, নিশ্চয় আপনারা জানেন, সরকারপ্রধান নীতি নির্ধারণ করেন। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।